জন্ম নিবন্ধন প্রতিটি ব্যক্তির প্রাথমিক পরিচয়পত্র। এটি নাগরিকের জীবনে প্রাত্যহিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন সারা জীবনে দুইবার সংশোধন করা যায়। তাই যদি কোন তথ্যের গরমিল হয় আপনার সার্টিফিকেটের সাথে কিংবা বাবা মায়ের আইডির সাথে তাহলে অবশ্যই এটি সংশোধন করতে হবে।
এই জন্ম নিবন্ধন মূলত সন্তান জন্ম গ্রহণের কিছু দিনের মধ্যে করাই ভাল। তারপরও পরবর্তীতে আমরা এটা করে থাকি। যখন সন্তানকে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন হয় কিংবা স্কুলে ভর্তি করানোর প্রয়োজন হয় তখন অনেকেই করে থাকি। তবে আবার অনেকের ই দেখা যায়, অনলাইনে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন হওয়ার পূর্বে জন্ম নিবন্ধন করে রেখেছেন। তাদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগই সংশোধন করার প্রয়োজন হয়।
তাছাড়া বিভিন্ন সরকারি সেবা পেতে হলে আপনার এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন হয়। অনেক ক্ষেত্রে এনআইডির বিকল্প হিসেবে জন্ম সনদের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। আর এনআইডি করার জন্য জন্ম সনদের বিকল্প নেই। তাছাড়াও পাসপোর্টসহ অনেক ক্ষেত্রেই জন্ম সনদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে যা যা লাগে
আমাদের মধ্যে অনেকের জন্ম নিবন্ধনে নামের মধ্যে ভুল, বয়সের মধ্যে ভুল, বাবা-মায়ের বানান ঠিক নেই, আবার অনেকের ঠিকানায়ও ঠিক নেই। তাই আমাদেরকে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করতে হয়।
যদি জন্ম নিবন্ধনে পিতার নাম সংশোধন করতে চান কিংবা মাতার নামের সংশোধন করতে চান। কিংবা পিতা মাতার জন্ম সনদের সাথে যদি মিল করতে চান। তাহলে যে সমস্ত কাগজ লাগবে:
১) ইপিআই কার্ড অর্থাৎ শিশুর টিকা কার্ড। অথবা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদানকৃত জন্ম নিশ্চিত পত্রের সত্যায়িত কপি।
২) নিবন্ধনকারীর যেকোন সার্টিফিকেটের ফটোকপি।
৩) নিবন্ধনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৪) নিবন্ধনকারীর পিতা/মাতার তাদের এনআইডির ফটোকপি দিতে হবে।
৫) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়্যারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র।
৬) আবেদনকারীর পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি দিতে হবে।
৭)নিবন্ধনকারীর ডিজিটাল জন্ম সনদ এর ফটোকপি দিতে হবে।
কিন্তু আপনার জন্ম যদি ০১/০১/২০০১ সালের পূর্বে হয় তাহলে যেসমস্ত কাগজ লাগবে:
১) আপনার ডিজিটাল জন্ম সনদ এর ফটোকপি দিতে হবে।
২) আপনার যে কোন একটি সার্টিফিকেটের ফটোকপি দিতে হবে।
সার্টিফিকেট অনুযায়ী যদি জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাকে যে সমস্ত কাগজ দিতে হবে:
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য:
১) গুগলে গিয়ে “জন্ম নিবন্ধন সংশোধন” লিখে সার্চ করবেন। তারপর প্রথম রেজাল্টে ক্লিক করবেন।
তারপর নিবন্ধন নাম্বার ও জন্ম সাল দিবেন এবং একটি ক্যাপচা পুরণ করতে হবে। যা নিম্নরুপ
সঠিকভাবে পুরণ করার পরে আপনার সকল তথ্য আসবে। এরপর নির্বাচন করুন অপশনটা ক্লিক করুন।
দ্বিতীয় স্টেপে যে কারনে পরিবর্তন করতে চান সেটা দেখাবে এবং সিলেক্ট করবেন।
প্রয়োজনীয় তথ্য পুরন করার পর মোবাইলে ওটিপি যাবে। তারপর নির্দিষ্ট একটি সময় দিবে তারপর সাবমিট করতে হবে। তারপর এরকম একটি উইন্ডো আসবে।
এবং আবেদপত্র প্রিন্ট করে এর সাথে সংযুক্ত আপলোডকৃত পেপারসগুলো ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জমা দিন। এবং একটি নির্দিষ্ট ফি চাইতে পারে। আশা করি আপনার জন্ম নিবন্ধন এভাবে খুব সহজেই নিজে নিজে করতে পারবেন। ধন্যবাদ
2 thoughts on “জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কি কি লাগে ও নিয়ম”