জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) হলো বাংলাদেশি নাগরিকত্বের প্রতীক। এই কার্ডটি আপনার ভোটাধিকার, জমি মালিকানা, ব্যাংক হিসাব খোলা থেকে শুরু করে এই রাষ্ট্রের সাথে আপনার সমস্ত আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ এনআইডি কার্ডে থাকা ভুল তথ্য আপনার নাগরিকত্বের অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলে দিবে।
যদিওবা ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে এনআইডিতে ভিন্ন ধরনের ভুল হয়। তবে সবার ক্ষেত্রে অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করার প্রক্রিয়া একই। তাই এবার আমি আপনাকে ধাপে ধাপে অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করার সকল পদ্ধতি গুলো দেখিয়ে দিবো। তো চলুন এবার মূল আলোচনায় ফিরে যাওয়া যাক।
কেন এনআইডি কার্ডে ভুল তথ্য আসে?
সত্যি বলতে এনআইডি কার্ডে থাকা ভুল মানে নতুন এক বিড়ম্বনা। যখন এনআইডি হাতে পাওয়ার পর দেখি যে সেখানে ভুল কোনো তথ্য আসছে তখন আমরা বুঝতে পারিনা যে, কেন এই ভুল তথ্য গুলো আসলো। তো একজন ব্যক্তির ভোটার আইডি কার্ডে ভুল তথ্য থাকার অনেক গুলো কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কারণ গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন,
আবেদনকারীর ভুল
অনেক সময় আবেদনকারী নিজেই ভুল তথ্য প্রদান করে থাকেন। এর মধ্যে থাকতে পারে ভুল জন্ম তারিখ, নাম, ঠিকানা ইত্যাদি। তো নতুন ভোটার নিবন্ধনের সময় যদি আপনিও এমন কাজ করেন, তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনার আইডি কার্ডের মধ্যে থাকা তথ্য গুলোতে ভুল আসবে। তাই যখন আপনি ভোটার নিবন্ধন করবেন, তখন অবশ্যই সঠিক তথ্য প্রদান করার চেস্টা করবেন।
অপারেটরের ভুল
আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এনআইডিতে ভুল তথ্য থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হলো ভোটার বিবন্ধন অফিসে থাকা কর্মরত কর্মকর্তার। কারণ, তাদের অসাবধানতার কারণে সঠিক তথ্য দেওয়ার পরও ভোটার আইডি কার্ডে ভুল তথ্য চলে আসে। কিন্তুু তারা যদি ভোটার নিবন্ধন করার সময় একটু সতর্ক থাকে, তাহলে এই ভুল তথ্য আসার বিড়ম্বনা অনেক অংশে কমে আসবে।
নথিপত্রের ত্রুটি
ভুল তথ্যযুক্ত নথিপত্র প্রদান করলেও আপনার ভোটার আইডি কার্ডে থাকা তথ্যতে ভুল আসবে এটাই স্বাভাবিক। যেমন জন্ম সনদ, সার্টিফিকেট ইত্যাদিতে ভুল থাকলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডেও ভুল আসবে। তাই যখন আপনারা নতুন ভোটার নিবন্ধন করবেন তখন আপনার প্রদান করা ডকুমেন্টস এর মধ্যে কোনো ভুল আছে কিনা তা অবশ্যই যাচাই করে নিবেন।
এনআইডি কার্ডে ভুল থাকলে কি কি সমস্যা হয়?
উপরের আলোচনায় আমাদের এনআইডি কার্ডে ভুল তথ্য আসার কারণ গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। তো কোনো কারণে যদি আপনার এনআইডি কার্ডে ভুল তথ্য আসে তাহলে আপনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হবেন। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, ভোটার আইডি কার্ডে ভুল তথ্য থাকলে কি কি সমস্যর সৃষ্টি হতে পারে।
ভোটদানে বাধা
ভুল তথ্যের কারণে ভোটার তালিকায় গরমিল দেখা দিতে পারে। এর ফলে আপনার ভোটাধিকার হুমকির মুখে পড়বে। কারণ, আপনি যখন ভোট দিতে যাবেন, তখন দেখবেন যে, আপনার নাম ভোটার তালিকায় নেই! মূলত ভুল তথ্যের কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তৈরিতে অসুবিধা
পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জমিজমা ইত্যাদির মত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তৈরিতেও ভুল তথ্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে। ভুল তথ্যের কারণে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে, এমনকি আইনি জটিলতায়ও জড়াতে পারেন।
আর্থিক জটিলতা
ব্যাংক হিসাব, বীমা, ঋণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে ভুল তথ্য বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে। যদি আপনার NID কার্ডে ভুল তথ্য থাকে, তাহলে ব্যাংক লেনদেনে সমস্যা হতে পারে, এমনকি ঋণ পেতেও অসুবিধা হতে পারে।
আইনি ঝুঁকি
চরম পরিস্থিতিতে, ভুল তথ্যের কারণে আইনি জটিলতা, এমনকি গ্রেপ্তারের ঝুঁকিও দেখা দিতে পারে। ভুল তথ্যের কারণে আপনার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে, এমনকি কারাদণ্ডও হতে পারে।
ভোটার তথ্য ভুল ও সমাধান
যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে, আপনার এনআইডি কার্ডের মধ্যে থাকা কোনো তথ্যে ভুল আছে তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেটি সংশোধন করতে হবে। যদিওবা অনেকের কাছে এনআইডি কার্ড সংশোধন করার কাজটি খুব কঠিন মনে হতে পারে।
কিন্তুু বর্তমান সময়ে আপনি চাইলে নিজের ঘরে বসে আপনার এনআইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর চলমান সময়ে অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য যেসব নিয়ম ফলো করতে হয় সেগুলো নিচে শেয়ার করা হলো।
আরও দেখুন: জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখ সংশোধনের নতুন নিয়ম ২০২৪।
অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন
বর্তমান সময়ে নতুন ভোটার নিবন্ধন থেকে শুরু করে এনআইডি সংশোধন পর্যন্ত যাবতীয় কাজ গুলো অনলাইনের মাধ্যমে করার সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তুু সঠিক নিয়ম না জানার কারণে অনেকেই বুঝতে পারেনা যে, কিভাবে অনলাইনে অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করতে হয়। তো সেই সকল মানুষদের জন্য নিচে আবেদন করার প্রক্রিয়াকে সহজ ভাবে তুলে ধরা হলো।
ধাপ-১: services.nidw.gov রেজিষ্ট্রেশন
যেহুতু আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আপনার এনআইডিতে থাকা ভুল তথ্য সংশোধন করতে চান, সেহুতু আপনাকে services.nidw.gov ওয়েবসাইটে একটি নতুন একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আর যদি আপনার এই ওয়েবসাইটে আগে থেকেই একাউন্ট তৈরি করা থাকে তাহলে আপনার আর নতুন করে একাউন্ট করার দরকার হবেনা। কিন্তুু আপনাদের যাদের একাউন্ট নেই তারা নিচে দেখানো পদ্ধতিতে কাজ করে সফলভাবে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। যেমন,
- জাতীয় পরিচয়পত্র ওয়েবসাইটে যান: https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/register-account
- “রেজিস্টার করুন” বাটনে ক্লিক করুন।
- ফর্মে আপনার এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ এবং সিকিউরিটি কোড লিখে “সাবমিট” করুন।
- আপনার মোবাইল নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। কোডটি লিখে “ভেরিফাই” ক্লিক করুন।
- “ফেস ভেরিফিকেশন” এর জন্য NID Wallet অ্যাপ ডাউনলোড করুন এবং ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত QR কোড স্ক্যান করুন।
- আপনার মুখ স্ক্যান করে ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন।
- একটি পাসওয়ার্ড সেট করুন।
ব্যাস! যখন আপনি উপরের এই কয়েকটি ধাপ সঠিকভাবে সম্পন্ন করবেন তখন আপনার নতুন একটি একাউন্ট তৈরি করার কাজ শেষ হবে। তো এবার আপনাকে সেই একাউন্টের ভেতরে প্রবেশ করানো হবে। আর উক্ত একাউন্টে প্রবেশ করার পর আপনি আপনার এনআইডিতে থাকা সকল তথ্য গুলো দেখতে পারবেন।
ধাপ-২: এনআইডি তথ্য সংশোধন
এবার আপনার অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করার পালা। আর সেজন্য যখন আপনি আপনার নতুন একাউন্টে প্রবেশ করবেন তখন আপনার ডানপাশের “প্রোফাইল” – অপশনে ক্লিক করবেন। আর উক্ত অপশনে ক্লিক করলে আপনি আপনার যাবতীয় তথ্য গুলো সিরিয়ালি দেখতে পারবেন যা আপনি নিচের পিকচারে দেখতে পাচ্ছেন।
তো যেহুতু আপনি আপনার এনআইডির ভুল তথ্য সংশোধন করবেন সেহুতু আপনাকে উপরের ছবিতে দেখানো ”এডিট”- অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনি আপনার সকল তথ্য গুলো এডিট করার অনুমতি পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার এনআইডিতে যে তথ্য গুলো সংশোধন করার দরকার হবে সেগুলো আপনাকে এডিট করে নিতে হবে।
তবে এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আমরা আমাদের এনআইডি কার্ডের কোন কোন তথ্য গুলোর সংশোধন করতে পারবো। আর এই বিষয়টি সম্পর্কে যেন আপনার সঠিক ধারনা থাকে সেজন্য নিচে একটি তালিকা প্রদান করা হলো। যেখানে আপনি দেখতে পারবেন যে, কোন কোন তথ্য গুলো আমরা সংশোধন করতে পারবো।
- জন্মস্থান
- পিতার নাম সংশোধন (বাংলা)
- পিতার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার
- মায়ের নাম সংশোধন (বাংলা)
- মায়ের ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার
- ব্যক্তির নিজের নাম (বাংলা)
- ব্যক্তির নিজের নাম (English)
- জন্ম তারিখ পরিবর্তন
- জন্ম নিবন্ধন নাম্বার
- লিঙ্গ
উপরের তালিকায় আপনি যেসকল তথ্য দেখতে পাচ্ছেন, সেই তথ্য গুলো আপনি সংশোধন করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে সংশোধন করার তথ্য ভিন্ন হয়। সেক্ষেত্রে আপনার যেসকল তথ্য ভুল আসছে এবং যা আপনি সংশোধন করতে চান তা আপনাকে এডিট করে নিতে হবে।
ধাপ-৩: তথ্য পুনঃযাচাই করুন
আপনি আপনার এনআইডি কার্ডের যেসব তথ্য সংশোধন করতে চান তা আপনি এডিট করার পর পরবর্তী ধাপে তার সামারি দেখতে পারবেন। আর এই ধাপে আপনাকে যথেষ্ট সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, এডিট করা তথ্য গুলো সম্পূর্ণ সঠিক আছে কিনা। কেননা, এবারও যদি আপনি ভুল তথ্য দেন তাহলে আপনাকে পরবর্তী সময়ে আবার বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হবে।
ধাপ-৪: সংশোধন ফি প্রদান করুন
যখন আপনি অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করবেন তখন আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমান ফি প্রদান করতে হবে। আর আপনার ক্ষেত্রে আসলে মোট কত টাকা ফি প্রদান করতে হবে তা আপনার সংশোধন এর ধরনের উপর নির্ভর করবে। তবে ভিন্ন ধরনের সংশোধনের জন্য ভিন্ন পরিমানের ফি এর তালিকা নিচে দেওয়া হলো। যাতে করে আপনি আগে থেকেই জানতে পারেন যে, আপনার এনআইডি সংশোধন করতে মোট কত টাকা দিতে হবে।
সিরিয়াল | সংশোধনের ধরণ | সংশোধন ফি |
01 | ব্যক্তিগত তথ্য | ২৩০ টাকা |
02 | আইডি কার্ড রিইস্যু (Regular) | ২৩০ টাকা |
03 | আইডি কার্ড রিইস্যু (Urgent) | ৩৭৫ টাকা |
04 | উভয় তথ্য সংশোধন | ৩৭৫ টাকা |
05 | অন্যান্য তথ্য সংশোধন | ১১৫ টাকা |
তবে সুবিধা হলো এখন এই ফি প্রদান করার জন্য আপনাকে অন্য কোথাও যেতে হবেনা। বরং আপনি নিজের ঘরে বসে থেকে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনার সংশোধন ফি পরিশোধ করে দিতে পারবেন।
ধাপ-৪: ডকুমেন্ট আপলোড
যখন আপন আপনার সংশোধন ফি প্রদান করবেন তারপর আপনাকে নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি আপনি আপনার পিতা বা মাতার তথ্য সংশোধন করতে চান, তাহলে তাদের এনআইডি কার্ডের কপি থাকতে হবে। আবার যারা এনআইডিতে থাকা ঠিকানা পরিবর্তন করতে চান তাদের জন্য বিদ্যুৎ বিলের কাগজ বা যে কোন ইউটিলিটি বিলের কপি জমা দিতে হবে।
কিন্তুু আপনি যদি নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাকে নিজের ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে। যেমন, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স। এক্ষেত্রে উক্ত ডকুমেন্টস গুলো মোবাইলে পরিস্কার ছবি তুলেও আপলোড করতে পারবেন। অথবা স্ক্যান করেও আপলোড করতে পারবেন।
তবে চেস্টা করবেন আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলোর স্ক্যান কপি আপলোড করার। তাহলে আপনার ডকুমেন্টসে থাকা সকল তথ্য গুলো স্পষ্ট দেখা যাবে। আর মোবাইলে তোলা ছবিতে অনেক সময় ডকুমেন্টসে থাকা তথ্য গুলো পরিস্কার দেখা যায়না, এর ফলে পরে নানা বিপত্তি দেখা দিতে পারে।
ধাপ-৫: সংশোধিত এনআইডি কার্ড ডাউনলোড
এনআইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার পর আপনি সাথে সাথে আপনার কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন না। বরং এই কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক সময়সীমা হিসেবে আপনাকে সর্বোচ্চ ৪৫ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। যদিওবা সঠিকভাবে আবেদন করলে প্রায় ২১ দিনের মধ্যেই এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করা যায়।
আর যখন আপনার এনআইডি ভুল তথ্য সংশোধন করা হবে তারপর আপনি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে উপজিলা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকেও আপনার এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর-
অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করার বিষয়টি নিয়ে উপরে বিষদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তুু এরপরও আপনার মনে উক্ত বিষয়ে আরো অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে সেগুলোর মধ্যে কিছু প্রশ্নের উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
ভোটার আইডি কার্ডে রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন করতে কি লাগে?
কোনো কারণে যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ডে রক্তের গ্রুপ ভুল আসে তাহলে আপনি তা সংশোধন করে নিতে পারবেন। তবে সেজন্য আপনাকে আবেদন করার সময় স্বাস্থ্য ক্লিনিক থেকে Blood group Test Report জমা দিতে হবে। তারপর নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
কিভাবে স্মার্টকার্ড সংশোধন করা যাবে?
যারা মূলত স্মার্ট কার্ডে থাকা তথ্য সংশোধন করতে চান তাদের services.nidw.gov.bd এই সাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর সেখানে একাউন্ট না থাকলে একটি নতুন একাউন্ট করতে হবে। আর সেই একাউন্ট থেকে আপনি আপনার স্মার্টকার্ডের যাবতীয় তথ্য গুলো পরিবর্তন বা সংশোধন করতে পারবেন।
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
প্রিয় পাঠক, বিভিন্ন সময় আমাদের ভোটার আইডি কার্ডে থাকা তথ্য গুলো ভুল আসে। তো এমন সমস্যা হলে কিভাবে আপনি তা সংশোধন করবেন সেগুলো নিয়ে আজ বিস্তারিত বলা হয়েছে। তবে এরপরও যদি আপনার মনে কোনো ধরনের প্রশ্ন থাকে তাহলে সেটি নিচে কমেন্ট করবেন।